শবে বরাত এর হাদিস কি সহি? ঐ দিন এই উপলক্ষে নামায পড়া রোজা রাখার হুকুম কী? সালাফী আলেমদের ফতোয়া - Be Salafee Upon The Path

Wednesday, April 4, 2018

শবে বরাত এর হাদিস কি সহি? ঐ দিন এই উপলক্ষে নামায পড়া রোজা রাখার হুকুম কী? সালাফী আলেমদের ফতোয়া

শবেবরাত এর হাদিস সহীহ নয়। শাইখ সলিহ আল ফাওযান হাফিযাহুল্লাহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল_
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। ইনি বলেছেন নিসফে শাবানের রাতের ফযিলাত (শাবান মাসের ১৫ তারিখ) সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস কি সহি?
উত্তর: না সহী না। নিসফে শাবান রাতের ফযিলাত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সহী না এবং নিসফে শাবানের দিনের ব‍্যাপারে বর্ণিত হাদীস সহী না। তাই নিসফে শাবানে কিয়াম (তাহাজ্জুদের সালাত) করা যাবে না। অর্থৎ ঐ দিন রাতকে সালাতের জন্য খাস (নির্দিষ্ট) করা যাবে না। তবে যার নিয়মিত রাতের সালাত আছে সে ১৫ শাবানেও অনন‍্য দিনের মত সালাত আদায় করবে। তবে সে যদি ঐ দিনকে সালাতের জন্য খাস (নির্দিষ্ট) করে তাহলে এটা বিদাত। অথবা ১৫ সাবানে (খাস করে) রোজা রাখে তাহলে তা বিদাত। তবে উদাহরণ স্বরূপ, যে আইয়ামে বিযের রোজা রাখে ‌(প্রত‍্যেক আরবি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ) সে শাবান মাসে ও (ঐ দিনগুলোতে) রোজা রখবে এবং অন্যা মাসে ও রাখবে, না'আম।
শাইখ সালেহ আল উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ

কিছু পূর্ববর্তীদের সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা মধ্য শাবানের রোযা রাখতেন। কিন্তু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ ব্যাপারে কোন নির্ভরযোগ্য হাদীছ বর্ণিত হয়নি। সুতরাং এই দিনকে সিয়াম পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা শরিয়ত সম্মত হবে না। কিন্তু লোকদের বলা হবে, শাবান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি রোযা রাখতেন। তিনি রমযান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোযা রাখতেন না। তাই লোকজন শাবান মাসে বেশি বেশি রোযা রাখুক যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোযা রাখতেন।
(ফতোয়া নুরুন আলাদ দারব , বাব - আয-যাকাতু ওয়া সিয়াম - আল শাইখ আল উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ)
শবে বরাত পালন সাহাবিদের যুগে ছিল না। ~ শাইখ বিন বায (রহিমাহুল্লাহ)
শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায রহিমাহুল্লাহ তার রিসালাহ "তাহযির মিনাল বিদায় ১৯ পৃষ্ঠায়" বলেন,  নিসফে শাবানের রাতকে সালাত অথবা অন্যান্য ইবাদাতের মাধ্যমে উদযাপন করা অথবা ঐ দিনকে সিয়াম পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা অধিকাংশ আলেমের নিকট নিকৃষ্ট বিদাত। পবিত্র শরিয়াতে এর কোন ভিত্তি নাই। বরং তা সাহাবীদের (রদিয়াল্লাহু আনহুম) যুগের পরে ইসলামে নতুনভাবে প্রবর্তন করা হয়েছে।
Translation : Jihaad

Pages