কা-ফিরদের উৎসব উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানানোর বিধান কী ?
বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম ফাক্বীহ্ ও মুহাদ্দিছ ইমা-ম মুহাম্মাদ বিন স্ব-লিহ্ আল 'উছাইমীন (রাহিমাহুল্লা-হ্) 'র ফাতওয়া।
السؤال : ﺳُﺌﻞ ﻓﻀﻴﻠﺔ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﺑﻦ ﻋﺜﻴﻤﻴﻦ - ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - ﻋﻦ ﺣُـﻜﻢ ﺗﻬﻨﺌﺔ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﺑﻌﻴﺪ ( ﺍﻟﻜﺮﻳﺴﻤﻴﺲ ) ؟
ﻭﻛﻴﻒ ﻧﺮﺩّ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺇﺫﺍ ﻫﻨﺌﻮﻧﺎ ﺑﻪ ؟
ﻭﻫﻞ ﻳﺠﻮﺯ ﺍﻟﺬﻫﺎﺏ ﺇﻟﻰ ﺃﻣﺎﻛﻦ ﺍﻟﺤﻔﻼﺕ ﺍﻟﺘﻲ ﻳُﻘﻴﻤﻮﻧﻬﺎ ﺑﻬﺬﻩ ﺍﻟﻤﻨﺎﺳﺒﺔ ؟
ﻭﻫﻞ ﻳﺄﺛﻢ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﻓﻌﻞ ﺷﻴﺌﺎ ﻣﻤﺎ ﺫُﻛِﺮ ﺑﻐﻴﺮ ﻗﺼﺪ ؟ ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻓﻌﻠﻪ ﺇﻣﺎ ﻣﺠﺎﻣﻠﺔ ﺃﻭ ﺣﻴﺎﺀً ﺃﻭ ﺇﺣﺮﺍﺟﺎ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻷﺳﺒﺎﺏ ؟
ﻭﻫﻞ ﻳﺠﻮﺯ ﺍﻟﺘّﺸﺒّﻪ ﺑﻬﻢ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ؟
ﻭﻛﻴﻒ ﻧﺮﺩّ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺇﺫﺍ ﻫﻨﺌﻮﻧﺎ ﺑﻪ ؟
ﻭﻫﻞ ﻳﺠﻮﺯ ﺍﻟﺬﻫﺎﺏ ﺇﻟﻰ ﺃﻣﺎﻛﻦ ﺍﻟﺤﻔﻼﺕ ﺍﻟﺘﻲ ﻳُﻘﻴﻤﻮﻧﻬﺎ ﺑﻬﺬﻩ ﺍﻟﻤﻨﺎﺳﺒﺔ ؟
ﻭﻫﻞ ﻳﺄﺛﻢ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﻓﻌﻞ ﺷﻴﺌﺎ ﻣﻤﺎ ﺫُﻛِﺮ ﺑﻐﻴﺮ ﻗﺼﺪ ؟ ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻓﻌﻠﻪ ﺇﻣﺎ ﻣﺠﺎﻣﻠﺔ ﺃﻭ ﺣﻴﺎﺀً ﺃﻭ ﺇﺣﺮﺍﺟﺎ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻷﺳﺒﺎﺏ ؟
ﻭﻫﻞ ﻳﺠﻮﺯ ﺍﻟﺘّﺸﺒّﻪ ﺑﻬﻢ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ؟
الجواب : ﻓﺄﺟﺎﺏ - ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ - : تهنئة الكفار بعيد الكريسمس أو غيره من أعيادهم الدينية حرام بالاتفاق ، كما نقل ذلك ابن القيم - يرحمه الله - في كتاب ( أحكام أهل الذمة ) حيث قال : " وأما التهنئة بشعائر الكفر المختصة به فحرام بالاتفاق ، مثل أن يهنئهم بأعيادهم وصومهم ، فيقول: عيد مبارك عليك ، أو تهْنأ بهذا العيد ونحوه ، فهذا إن سلم قائله من الكفر فهو من المحرمات وهو بمنزلة أن يهنئه بسجوده للصليب بل ذلك أعظم إثماً عند الله ، وأشد مقتاً من التهنئة بشرب الخمر وقتل النفس ، وارتكاب الفرج الحرام ونحوه ، وكثير ممن لا قدر للدين عنده يقع في ذلك ، ولا يدري قبح ما فعل ، فمن هنّأ عبداً بمعصية أو بدعة ، أو كفر فقد تعرض لمقت الله وسخطه ." انتهى كلامه - رحمه الله - .
وإنما كانت تهنئة الكفار بأعيادهم الدينية حراماً وبهذه المثابة التي ذكرها ابن القيم لأن فيها إقراراً لما هم عليه من شعائر الكفر، ورضى به لهم ، وإن كان هو لا يرضى بهذا الكفر لنفسه ، لكن يحرم على المسلم أن يرضى بشعائر الكفر أو يهنّئ بها غيره ، لأن الله تعالى لا يرضى بذلك كما قال الله تعالى : { إن تكفروا فإن الله غني عنكم ولا يرضى لعباده الكفر وإن تشكروا يرضه لكم } وقال تعالى : { اليوم أكملت لكم دينكم وأتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الإسلام ديناً } ، وتهنئتهم بذلك حرام سواء كانوا مشاركين للشخص في العمل أم لا .
وإذا هنؤنا بأعيادهم فإننا لا نجيبهم على ذلك لأنها ليست بأعياد لنا ، ولأنها أعياد لا يرضاها الله تعالى ، لأنها إما مبتدعة في دينهم وإما مشروعة لكن نسخت بدين الإسلام الذي بعث الله به محمداً إلى جميع الخلق ، وقال فيه : { ومن يبتغ غير الإسلام ديناً فلن يقبل منه وهو في الآخرة من الخاسرين } . وإجابة المسلم دعوتهم بهذه المناسبة حرام ، لأن هذا أعظم من تهنئتهم بها لما في ذلك من مشاركتهم فيها .
وكذلك يحرم على المسلمين التشبه بالكفار بإقامة الحفلات بهذه المناسبة ، أو تبادل الهدايا أو توزيع الحلوى ، أو أطباق الطعام ،أو تعطيل الأعمال ونحو ذلك لقول النبي صلى الله عليه وسلم : { من تشبّه بقوم فهو منهم } . قال شيخ الإسلام ابن تيميه في كتابه : ( اقتضاء الصراط المستقيم مخالفة أصحاب الجحيم ) : " مشابهتهم في بعض أعيادهم توجب سرور قلوبهم بما هم عليه من الباطل ، وربما أطمعهم ذلك في انتهاز الفرص واستذلال الضعفاء " . انتهي كلامه - رحمه الله -.
ومن فعل شيئاً من ذلك فهو آثم سواء فعله مجاملة أو توددا أو حياء أو لغير ذلك من الأسباب لأنه من المداهنة في دين الله، ومن أسباب تقوية نفوس الكفار وفخرهم بدينهم .
والله المسئول أن يعز المسلمين بدينهم ، ويرزقهم الثبات عليه ، وينصرهم على أعدائهم ، إنه قوي عزيز .
প্রশ্নঃ সম্মানিত শাইখ ইমা-ম ইবনু 'উছাইমীন (রাহিমাহুল্লা-হ্) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে:- ক্রিসমাস ডে তথা বড়দিন উপলক্ষে কা-ফিরদেরকে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানানোর বিধান কী ? এ উপলক্ষে তারা যখন আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাবে, তখন আমরা তাদেরকে কিভাবে জবাব দিব ? এই উৎসবকে কেন্দ্র করে তারা যেসব অনুষ্ঠানের অ্যারেজমেন্ট করে, সেসব জায়গায় যাওয়া কি জা-য়িয ? কোন ব্যক্তি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে উল্লিখিত বিষয়গুলোর কোন একটি করে ফেলে, তাহলে সে কি পাপী হবে ? সে হয়ত কাজটি করে সৌজন্যতা রক্ষার জন্য, অথবা লজ্জা বা কোন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে, অথবা অন্য কোন কারণে করে। (এক্ষেত্রে তার বিধান কী ?) আর এ ব্যাপারে তাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা কি জা-য়িয ?
প্রশ্নঃ সম্মানিত শাইখ ইমা-ম ইবনু 'উছাইমীন (রাহিমাহুল্লা-হ্) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে:- ক্রিসমাস ডে তথা বড়দিন উপলক্ষে কা-ফিরদেরকে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানানোর বিধান কী ? এ উপলক্ষে তারা যখন আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানাবে, তখন আমরা তাদেরকে কিভাবে জবাব দিব ? এই উৎসবকে কেন্দ্র করে তারা যেসব অনুষ্ঠানের অ্যারেজমেন্ট করে, সেসব জায়গায় যাওয়া কি জা-য়িয ? কোন ব্যক্তি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে উল্লিখিত বিষয়গুলোর কোন একটি করে ফেলে, তাহলে সে কি পাপী হবে ? সে হয়ত কাজটি করে সৌজন্যতা রক্ষার জন্য, অথবা লজ্জা বা কোন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে, অথবা অন্য কোন কারণে করে। (এক্ষেত্রে তার বিধান কী ?) আর এ ব্যাপারে তাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা কি জা-য়িয ?
উত্তরঃ শাইখ উত্তর দিয়েছেন:- ক্রিসমাস ডে তথা বড়দিন বা অন্য কোন বিধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কা-ফিরদেরকে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানানো সর্বসম্মতিক্রমে হারা-ম। ইমা-ম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লা-হ্) বিষয়টি তাঁর লিখিত "আহ্কা-মু আহলিয যিম্মাহ্" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন,
"কুফুরী আচার-অনুষ্ঠান উপলক্ষে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানানো সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। যেমন, তাদের উৎসব ও উপবাস পালন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো। একথা বলা যে, "তোমার উৎসব বরকতপূর্ণ হোক" বা "শুভ হোক তোমার উৎসব" অথবা এ জাতীয় অন্য কোন কথা।
যে এ ধরণের শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে সে যদি কুফুরী থেকে বেঁচেও যায়, তবুও তা হারা-মের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই শুভেচ্ছাজ্ঞাপন- ক্রুশকে সিজদাহ্ দেওয়ার কারণে কাউকে অভিনন্দন জানানোর পর্যায়ভুক্ত। বরং এটা আল্লা-হর কাছে আরো বড় গুনাহ। এটা মদ্যপান, মানবহত্যা, ব্যভিচার প্রভৃতির মত অপরাধের জন্য কাউকে অভিনন্দন জানানোর থেকেও বেশি ঘৃণ্য ও জঘন্য। যাদের কাছে দ্বীনে (ইসলা-মের) কোন মূল্য নেই, তাদের অনেকেই এ গুনাহে লিপ্ত হয়। যদিও সে তার কর্মের কদর্যতা উপলব্ধি করতে পারে না। সুতরাং যে ব্যক্তি পাপকাজ, বিদ'আত বা কুফুরী করার কারণে কাউকে সম্ভাষণ জানাল, সে তো আল্লা-হর ক্রোধ এবং অসন্তুষ্টি সাদরে গ্রহণ করে নিল।
ইমা-ম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লা-হ্) 'র কথা এখানে সমাপ্ত হয়েছে।
ইমা-ম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লা-হ্) 'র কথা এখানে সমাপ্ত হয়েছে।
বিধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কা-ফিরদেরকে শুভেচ্ছা বা অভিবাদন জানানো হারা-ম। আর এ ব্যাপারে ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লা-হ্) যা বর্ণনা করেছেন, তার কারণ হল এর মাধ্যমে কা-ফিরদের কুফুরী কৃষ্টি কালচারকে সমর্থন দেওয়া হয় এবং এহেন কুফুরী কর্মে সেও যে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট- তা জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও সে নিজের জন্য এই কুফুরী পছন্দ না করে। তথাপি একজন মুসলিম ব্যক্তির জন্য কুফুরী আচার অনুষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া অথবা সে উপলক্ষে কাউকে সম্ভাষণ জানানো হারা-ম। কারণ আল্লা-হ্ তা'আ-লা তা পছন্দ করেন না। যেমন আল্লা-হ্ তা'আ-লা বলেন,
إِن تَكْفُرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَنِىٌّ عَنكُمْ ۖ وَلَا يَرْضٰى لِعِبَادِهِ الْكُفْرَ ۖ وَإِن تَشْكُرُوا يَرْضَهُ لَكُمْ.
"তোমরা যদি কুফুরী করো, তবে (জেনে রেখো,) আল্লা-হ্ তোমাদের থেকে অমুখাপেক্ষী; আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফুরী পছন্দ করেন না। আর তোমরা যদি শোকর করো, তবে (জেনে রেখো,) তোমাদের জন্য তিনি তা পছন্দ করেন। [সূরাহ্ যুমার,আয়াত ৭]
এবং আল্লা-হ্ তা'আলা বলেন,
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلٰمَ دِينًا.
"আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার অনুগ্রহকে সম্পূর্ণ করলাম আর তোমাদের জন্য ইসলা-মকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।" [সূরাহ্ মা-ইদাহ্, আয়াত ৩]
অতএব, কুফুরী উৎসব উপলক্ষে কা-ফিরদেরকে সম্ভাষণ জানানো হারা-ম। চাই তারা ব্যক্তির কাজে সহকর্মী হোক বা না হোক।
যদি তারা তাদের উৎসব উপলক্ষে আমাদের সম্ভাষণ জানায়, তবে আমরা তাদের সম্ভাষণের উত্তর দিব না। কারণ তা আমাদের উৎসব না। উপরন্তু ঐ উৎসবগুলোর প্রতি আল্লা-হ্ সন্তুষ্ট নন। কারণ ঐ উৎসবগুলো হয়ত তাদের ধর্মে বিদ'আত (নব আবিষ্কৃত বিষয়) ছিল অথবা বিধেয় ছিল। কিন্তু তা দ্বীনে ইসলা-মের দ্বারা রহিত হয়ে গেছে। যেহেতু আল্লা-হ্ তা'আলা মুহাম্মাদ (স্বল্লাল্লা-হু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সমস্ত সৃষ্টির কাছে এই দ্বীন দিয়েই পাঠিয়েছেন। আর এ ব্যাপারে আল্লা-হ্ তা'আলা বলেন,
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ.
"আর কেউ ইসলা-ম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কক্ষনো তার কাছ থেকে ক্ববূল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।" [সূরাহ্ আ-লে 'ইমরা-ন, আয়াত ৮৫]
আর এ জাতীয় কুফুরী উৎসব উপলক্ষে তাদের দা'ওয়াত এর জবাব দেওয়া মুসলিমের জন্য হারা-ম। কারণ এটা তাদেরকে (উৎসব উপলক্ষে) সম্ভাষণ জানানোর থেকেও মারাত্মক। যেহেতু এর মাধ্যমে তাদের দা'ওয়াতকৃত কুফুরী উৎসবে তাদের সাথে অংশগ্রহণ করা হয়।
অনুরূপভাবে এ উপলক্ষকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান করা, উপহার বিনিময় করা, মিষ্টান্ন বা পিঠা বিতরণ করা, খাবার আদান-প্রদান করা, ছুটি ভোগ করা প্রভৃতি মুসলিমদের জন্য হারা-ম। যেহেতু নাবী (স্বল্লাল্লা-হু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
" مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ".
“যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে”।
[সুনানু আবী দাউদ, হা/৪০৩১; সনদঃ হাসান]
“যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে”।
[সুনানু আবী দাউদ, হা/৪০৩১; সনদঃ হাসান]
শাইখুল ইসলা-ম ইমা-ম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহিমাহুল্লা-হ্) তাঁর লেখা "ইক্বতিযা-উস স্বিরা-ত্বিল মুস্তাক্বীম মুখা-লাফাতু আস্বহা-বিল জাহীম" গ্রন্থে বলেছেন, "কা-ফিরদের কোন উৎসবে তাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করলে, তাদের বা-ত্বিল কর্মের প্রতি তারা আন্তরিক প্রশান্তি লাভ করে। অধিকন্তু এটা তাদেরকে অন্যায় সুযোগ গ্রহণে এবং দুর্বলদেরকে লাঞ্ছিত করতে প্রলুব্ধ করে।"
ইমা-ম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহিমাহুল্লা-হ্) 'র কথা এখানে সমাপ্ত হয়েছে।
ইমা-ম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহিমাহুল্লা-হ্) 'র কথা এখানে সমাপ্ত হয়েছে।
সুতরাং, যে ব্যক্তি কা-ফিরদের উৎসব সংশ্লিষ্ট কিছু করবে সে পাপী হবে। চাই সে তা সৌজন্যতা দেখানোর জন্য করুক বা ভালোবেসে করুন বা লজ্জায় পড়ে করুক অথবা অন্য কোন কারণে করুক না কেন (এতে কোন পার্থক্য গণ্য করা হবে না)। কারণ তা আল্লা-হর দ্বীনের ব্যাপারে মোসাহেবি বা চাটুকারিতার শামিল। এবং কা-ফিরদের মনোবল বৃদ্ধিকরণ ও স্ব-ধর্ম নিয়ে তাদের গর্ব সৃষ্টির কারণ।
আমরা আল্লা-হর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন মুসলিমদেরকে তাদের দ্বীন দ্বারা শক্তিশালী করেন, তাদেরকে তার উপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন এবং তাদের শত্রুদের উপর তাদেরকে বিজয়ী করেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী।"
ইমা-ম ইবনু 'উছাইমীন (রাহিমাহুল্লা-হ্), মাজমূ'উ ফাতা-ওয়া ওয়ার রসা-ইল; খণ্ডঃ ৩; পৃষ্ঠাঃ ৪৪-৪৬; দা-রুল ওয়াত্বান, রিয়াদ ছাপা; সনঃ ১৪১৩ হিজরী (সর্বশেষ প্রকাশ)।
অনুবাদে: Jihaad