১৫ শাবানের পর সোম ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখার বিধান
১৫ শাবানের পর সোম ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখার বিধান
এ ব্যাপারে সৌদি ফতোয়া বোর্ডের ফতোয়া-
السؤال الرابع من الفتوى رقم (7912)
س4: صيام الاثنين والخميس من رجب وشعبان هل يجوز بعد 15 من شعبان؟
ج4: صيام يوم الاثنين والخميس لا يختص برجب أو شعبان، بل هو مندوب في أشهر السنة ولا حرج على من اعتاد صيامهما في سائر السنة أن يصومهما في آخر شعبان، حتى ولو وافق أحدهما يوم الشك، فقد قال صلى الله عليه وسلم: لا تقدموا رمضان بصوم يوم ولا يومين إلا رجل كان يصوم صومًا فليصمه متفق عليه.وبالله التوفيق وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم.
اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء.
প্রশ্ন: রজব এবং শাবান মাসে সোমবার ও বৃহস্পতিবার (দিন দু’টিতে) কি রোযা রাখা জায়েয ? এবং ১৫ শাবানের পরে কি রোযা রাখা জায়েয ?
উত্তর: সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা রজব এবং শাবান মাসের জন্য নির্দিষ্ট নয়। বরং এটা বছরের সব মাসেই মুস্তাহাব তথা পছন্দনীয়। যে ব্যক্তি সারা বছর ঐ দিন দুটিতে রোজা রাখতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য শাবান মাসের শেষে ঐ দিন দুটিতে রোযা রাখাতে কোন সমস্যা নেই। এমনকি যদি ঐ দুই দিনের কোন এক দিন ‘‘ইয়াওমুশ শাক’’ (সন্দেহের দিন; কারণ ঐ দিনে সন্দেহ হয় যে, এটা শাবানের শেষ দিন নাকি রমযানের প্রথম দিন) এর সাথে মিলে যায় (তবুও ঐ রোযা রাখাতে কোন সমস্যা নেই)।
রসূলুল্লাহ্ (স্বল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমরা রমাযানের একদিন কিংবা দু’দিন আগে থেকে রোযা শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় (বিশেষ কোন) রোযা পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন রোযা পালন করতে পারবে।’’ [স্বহীহ্ বুখারী, হা/১৯১৪; স্বহীহ্ মুসলিম, হা/১০৮২]
আল্লাহ তায়ালা আমাদের নবী মুহাম্মদ (স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবার ও সাহাবীবর্গের উপর সালাত এবং সালাম বর্ষণ করুন।
★ফতোয়া প্রদান করেছেন-
চেয়ারম্যান: ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ্ বিন বায (রহিমাহুল্লাহ্)
ভাইস চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রহিমাহুল্লাহ্)
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ্ বিন গুদাইয়্যান (রহিমাহুল্লাহ্)
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ্ বিন ক্ব‘ঊদ (রাহিমাহুল্লাহ্)
ভাইস চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রহিমাহুল্লাহ্)
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ্ বিন গুদাইয়্যান (রহিমাহুল্লাহ্)
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ্ বিন ক্ব‘ঊদ (রাহিমাহুল্লাহ্)
সোর্সঃ (সৌদি) ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির ফতোয়া; ফতোয়া নং: ৭৯১২; প্রশ্ন নং: ৪;
Translation : Jihaad
সংগৃহীত:- www.alifta.net/Fatawa/FatawaChapters.aspx?languagename=ar&View=Page&PageID=22&PageNo=1&BookID=12.
Translation : Jihaad
সংগৃহীত:- www.alifta.net/Fatawa/FatawaChapters.aspx?languagename=ar&View=Page&PageID=22&PageNo=1&BookID=12.
ফতোয়াটি ইংলিশ অনুবাদ : http://www.alifta.net/Fatawa/FatawaChapters.aspx?languagename=en&View=Page&PageID=22&PageNo=1&BookID=10